জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১১ সাক্ষীকে জেরার বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনে নো অর্ডার দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এতে মামলার কার্যক্রম চলতে আর বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান।
দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদিন ও মো. বদরুদ্দোজা বাদল। অন্যদিকে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ওই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের নয় সাক্ষীকে জেরা ও দুই সাক্ষীকে পুনরায় জেরার অনুমতি চেয়ে গত ৬ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ২২ অক্টোবর হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ আবেদন নিষ্পত্তি করে দেন। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে খালেদা জিয়া চাইলে এই মামলায় তাঁর ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে করা জেরা ব্যবহার করতে পারবেন বলে পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ২৪ অক্টোবর চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সেদিন আদালত আবেদনটি ২৬ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। ওই দিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ আজ নো অর্ডার আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২০০৮ সালে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক। এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।