নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপির দুই শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা করেছে পুলিশ। নাশকতার চেষ্টা ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে কেন্দুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) আমিমুর রাজি বাদি হয়ে শনিবার এই মামলাটি করেন।
এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও এ্যাবের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোস্তফা - ই- জামান সেলিমসহ নেত্রকোনার ১৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরো ৬০ থেকে ৭০ জনকে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, থানার ১০নং ইউনিয়নের জামতলা নামক স্থানে আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে বেআইনিভাবে রাস্তা বন্ধ করে ককটেল বিস্ফোরণ করে। অন্তঘার্তি কাজের মাধ্যমে সরকারি স্থাপনায় হামলার চালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ককটেলসহ নাশকতার বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছেন।
এই বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা করছে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে গায়েবীর মামলার ঝড় বইছে। প্রতিদিন আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে ১০ থেকে ১৫টি মামলা করা হচ্ছে। যাকে যেখানে পাচ্ছে আটক করছে। এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও এ্যাবের সহ-সভাপতি মোস্তফা ই জামান সেলিম বলেন, সারাদেশে পুলিশ ধারাবাহিকভাবে যে গায়েবী মামলার দায়ের করছে, এটা তারই অংশ। উদ্দেশ্য পরিস্কার, বিরোধীদলকে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করা, নির্বাচনে মাঠে যেন থাকতে না পারে। কিন্তু এসব মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে কোন লাভ নাই, বিএনপির নেতা-কর্মীরা আগের চাইতে এখন আরও সাহসী ও শক্তিশালী। পদত্যাগ ছাড়া সরকারের কোন পথ নাই"। news24bd.tv/AA