আমরা জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার আমলে দুষ্কৃতিকারী ছিলাম। আজকে আমার বোন শেখ হাসিনার আমলেও আমরা সরকারি খাতায় দুষ্কৃতিকারী। আমি জানতে চাই এই দুষ্কৃতিকারী কবে দূর হবে? বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদ করে আমি অন্যায় করেছি না ন্যায়- এই কথা শেখ হাসিনাকে বলতে হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল চত্বরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন দলের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করা যদি অন্যায় হয় সেটা বলেন, আমাদেরকে ফাঁসি দেন। সবার আগে আমাকে ফাঁসি দেন, তার পর আমার ভাই লতিফ সিদ্দিকীকে দেন। কারণ, উনি আমার সঙ্গে ছিলেন। আমি এমপি হয়েছি, উনি এমপি ও মন্ত্রী হয়েছেন। অন্তত ৫০ দুষ্কৃতিকারী এমপি হয়েছে, মন্ত্রী হয়েছে।
প্রশ্ন করে তিনি বলেন, সংবিধান কি এমপি, মন্ত্রী বানাবার অধিকার আপনাদের দিয়েছে? তাহলে কি করে বানান? দুষ্কৃতিকারীদের প্রথম পুরস্কৃত করেন। বলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা দেশের সুনাম অর্জন করেছে। সে জন্য আমরা জাতির পক্ষ থেকে তাদের অভিনন্দন জানাই, সম্মান জানাই। তাদেরকে চিরকাল দ্বিতীয় মুক্তিযোদ্ধার মতো সম্মান জানাব। এটা এই সরকারের কাছে আশা করি।
প্রতিনিধি সম্মেলনে ময়মনসিংহ জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার, মঞ্জুরুল ইসলাম বিমল, জোবাইদুল ইসলাম বাবু, রিগ্যাম মামুন, আবু সুফিয়ান প্রমুখ।