রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য আসা ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর হতে যাচ্ছে।
এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় অংশ নিবেন বলে জানা গেছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে প্রকল্প এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে।
বর্ণিল সাজে সাজানো হচ্ছে প্রকল্প ও এর আবাসিক গ্রিনসিটি এলাকা। এ অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখতে রূপপুর জুড়ে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। প্যান্ডেল নির্মাণ, ফেস্টুন টাঙানো, দেওয়াল অংকনসহ নানা সাজসজ্জা।
ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানকে সফল করতে রূপপুরে অবস্থান করছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
জিডিপিতে ২ শতাংশ অবদান রাখবে রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র
এদিকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান হস্তান্তর করা হবে এ খবরে রূপপুর ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সাধারণ মানুষদের মাঝে খুশির জোয়ার বইছে।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এই জোয়ারে ভাসছেন দলীয় নেতা কর্মীরাও। তারা বলছেন, এই প্রকল্প ঘিরে এক সময়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে যে সংশয় আর আতংক বিরাজমান ছিল জ্বালানি হস্তান্তরের মাধ্যমে সেই সংশয়ের অবসান হয়েছে।
আর দলীয় নেতাকর্মীরা প্রকল্পের অগ্রগতির জন্য বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য সূত্রে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ২টা ২৯ মিনিটে রাশান ফেডারেশন ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সম্মতি সাপেক্ষে রোসাটমের মহাপরিচালক (ডিজি) ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমানের কাছে পারমাণবিক জ্বালানি হস্তান্তর সার্টিফিকেট ও মডেল হস্তান্তর করবেন। এরপরে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেবেন।
রূপপুরের বিদ্যুৎ গ্রিডে যাবে আগামী সেপ্টেম্বরে
পাবনার রূপপুরে নির্মাণাধীন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান নিয়ে বিশেষ গাড়িবহর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গত শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টা ২০ মিনিট নাগাদ রূপপুর প্রকল্প এলাকাতে প্রবেশ করে। সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে সড়ক পথে এই ইউরেনিয়াম নিয়ে আসা হয় প্রকল্প এলাকাতে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দু’টি ইউনিটের মাধ্যমে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে এ প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে চালু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
news24bd.tv/FA