বিএনপির এখন 'হামাগুড়ি কর্মসূচি' বাকি : তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি কর্মসূচির আড়ালে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হিসেবে বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচি দিচ্ছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, শাহজাহান খান, ড. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূরুল আমিন রুহুল এমপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরের সঞ্চালনায় বক্তব্যে রাখেন কাজী মনিরুল ইসলাম মনু এমপি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল সহ মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আগামী নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার উদ্দেশ্যে বিএনপি দেশে নানা কর্মসূচি ঘোষণা করে যাচ্ছে। আমরা সরকারি দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব রয়েছে দেশে যাতে কেউ শান্তি শৃঙ্খলা জনজীবনে নিরাপত্তা যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আজকে দেশে শান্তি, শৃঙ্খলা, স্থিতিশীল এবং জনগণকে স্বস্তিতে রাখতে আওয়ামী লীগ মাঠে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপির কর্মসূচি দেওয়ার পেছনে কারণ আছে, কারণটা হচ্ছে বিএনপি এখন পুরনো গাড়ির রূপ ধারণ করেছে। পুরনো গাড়ি যেমন স্টার্ট দিলে ব্যাটারি ওঠে না। বিএনপি এখন পুরনো গাড়ি। সে জন্য মাঝে মধ্যে স্টার্ট নিতে হয়। সে জন্য হাঁটা কর্মসূচি, বসা কর্মসূচি, দৌঁড় কর্মসূচি ক’দিন পরে বলবে হামাগুড়ি কর্মসূচি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি পুরনো গাড়ির মতো বসে। গেছে সে জন্য ব্যাটারি যাতে ডাউন না হয় সে কারণে নানা কর্মসূচি দিয়েছে। কিন্তু পুরনো গাড়ি যেমন যতোই স্টার্ট দেন, ব্যাটারি যতোই চার্জ দেন, চলতে গিয়ে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিএনপিও ক’দিন পরে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাবে, পুরনো গাড়ির মতো। আন্দোলনকে তারা সামনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, তারা ডিসেম্বর মাসে বলেছিলো নয়া পল্টনের সামনেই সমাবেশ হবে এবং সেখান থেকে কোনো অবস্থাতেই যাবে না। শেষ পর্যন্ত কোথায় গেলো? গরুর হাটে গেলো। গরুর হাটে গিয়ে আন্দোলন মাঠে মারা গেলো। এরপর কি বললো? বিভিন্ন সময় কর্মসূচি দিয়েছে সরকারকে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিলাম, ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিলাম। আল্টিমেটাম দিয়ে দেখা গেলো কি বিএনপির নিজেদেরই দম ফুরিয়ে গেছে। বিএনপির সমাবেশে আর আগের মতো আর মানুষ হয় না। তিনি বলেন, ভিসা নীতি নিয়ে নানা কথাবার্তা হচ্ছে। পত্রপত্রিকার সাংবাদিক বন্ধুদের বলছি, বিএনপিও নানা কথাবার্তা বললেও এতো পুলকিত হবার কিছু নাই।

news24bd.tv/FA