‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ করস’ বলে দুই নেতাকে মারধর

‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ করস’ বলে ঢাকা কলেজের দুই ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর করা হয়েছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের দুই নেতা আহত হন। আহত দুজন হলেন- কাওসার হাসান কায়েস ও সাব্বির হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে সাত কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের একাংশের বিরোধিতার জের ধরে এ মারধরের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান আহত কাওসার হাসান কায়েস।  

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পালচার গাড়ি, ওদের একটা নীল কালারের গাড়ি৷ ওই গাড়িটা হঠাৎ করে আমাদের মিডল বরাবর ডুকিয়ে দিল। পরে ওরা কমপ্লেন করতেছিল- ‘আমরা কি নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালাই?” নেমে যা তা ভাষায় গালাগালি এবং অ্যাগ্রেসিভ মুভমেন্ট। ওখানেই হিট করবে এ রকম একটা অবস্থা। ’

‘ওখানে আর কিছু করলো না৷ একটু আগানোর পরে ঢামেক বহির্বিভাগের ঠিক ১০ ফিট আগে ওখানে আরও চারটা গাড়ি রোড ব্লক অবস্থায় দাঁড়ানো ছিল, আর আমাদের গাড়ি ছিল দাঁড়ানো অবস্থায়। তখন আমাদের ব্লক করে ফেললো। ব্লক করে ওরা গাড়ি থেকে নামলো। ওই গাড়িগুলোতে দুই থেকে তিনজন করে ছিল। ’

‘এ লোকগুলো সবাই এসে আমাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়লো। আমাদের তিনজনের ওপরে। এলোপাতাড়ি ঘুষি, যার হাতে যা ছিল। কারো হাতে বাঁশ ছিল, কারো হাতে কলম ছিল। এলোপাতাড়ি যা তা বলে মারতে লাগলো। ’

“গাড়ি কীভাবে চালাস? নেশাগ্রস্ত হয়ে?’, ‘ঢাকা কলেজ, না?’, ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ করস’ এসব বকে আমাদের হিট করা শুরু করতেছিল। মানে আমি যে কী বলে ক্ষমা চাইব, বা আমার অপরাধটা কী তা আমি বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তারা মারলো, বসালো, এরপর পুলিশ আসলো। তখন তারা সরে গেল। ”

হামলার সময় কারো নাম উল্লেখ করা বা কাওকে চিনতে পারেননি বলে জানান তিনি। তবে তাদের দেখলে চিনতে পারবেন বলে জানান হাসান কায়েস।  

তিনি আরও বলেন, আমার ধারণা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ নিয়ে যে ঝামেলা চলছে তার জন্যই এই হামলা হতে পারে। আমার অবস্থান থেকে আমি ৯০ শতাংশ আশঙ্কা দেখতে পারছি৷

news24bd.tv/আইএএম