‌আওয়ামী লীগকে আর ষড়যন্ত্র করে পরাস্ত করা যাবে না: ড. সেলিম মাহমুদ

‌আওয়ামী লীগকে আর ষড়যন্ত্র করে পরাস্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী শক্তি বাংলাদেশের ইতিহাসে ষড়যন্ত্র করে একবারই সফল হয়েছিল। সেটি ১৯৭৫ সালে।

চাঁদপুরের কচুয়ার সাচার ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।  

ড. সেলিম বলেন, জাতির পিতা সরলভাবে সবাইকে বিশ্বাস করেছিলেন। সেই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়েই ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা গত ৪৮ বছরে দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্রকারীকে চিহ্নিত করেছেন। জাতির পিতার খুনি অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়ার প্রতিষ্ঠিত অবৈধ রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তার মিত্ররা যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, শেখ হাসিনা তথা বঙ্গবন্ধু পরিবারের নেতৃত্বের আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে আর কখনো উৎখাত করতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্র দেশবিরোধী শক্তি অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায়। তারা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। ১৯৭৫ সালে তারা সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা নিয়েছিল। সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা না করলে আওয়ামী লীগকে কখনো ক্ষমতাচ্যুত করতে পারতো না। বিএনপি ও দেশবিরোধী শক্তি ঐতিহাসিকভাবে সেই পথেই হাঁটছে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ যেকোনো চক্রান্তকারীর ষড়যন্ত্র রুখে দিতে সক্ষম। ইনশাল্লাহ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামী লীগকে আর কেউ উৎখাত করতে পারবে না।  

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান হাতেম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সালাউদ্দিন সরকার, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি শ্রী প্রাণ কৃষ্ণ, ১ নং সাচার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির হোসেন, ২ নং পাথৈর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস মোল্লা, ৩ নং বিতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইসহাক সিকদার, ৪ নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিব মজুমদার জয়, ৬ নং উত্তর কচুয়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আখতার হোসেন, ৭ নং ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান জসীমউদ্দীন লিটন, ৯ নং কড়ইয়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আহসান হাবিব জুয়েল, ৩ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন মজুমদার, ৪ নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, ৫ নং সহদেবপুর  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়া, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ পরাণ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মাসুদ বাবুল, কচুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আলমগীর তালুকদার, সাবেক সভাপতি রাকিবুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক সুজন পোদ্দার, পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল মো. নজরুল ইসলাম, প্রাক্তন প্রিন্সিপাল বিল্লাল হোসেন মোল্লা, সেন্ট্রাল ওমেনস কলেজের প্রিন্সিপাল শফিকুল ইসলাম, ১১ নং দক্ষিণ গোহট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামাল পাশা কাজল, ১২ নং আশরাফপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা ওমর ফারুক শামীম, সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগ নেতা আখতার হোসেন রানা, ১০ নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা বিজন সরকার, শিক্ষক নেতা রুমি বাগদাদী, আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া, সাচার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল মাহমুদ, সাচার কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রদীপ সরকার, ১ নং সাচার ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজ আহমেদ, সাচার কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লাদেন, চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আরিফ হোসেন। আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/আইএএম