প্রবাসী কবি সাইদা সারমিনের ঈদের কবিতা

১. ঈদের দাওয়াত

ওই যে দেখো আকাশে  হাসছে বাঁকা চাঁদ  তাই যে খুকি হাসছে   নিয়ে পোঁকা দাঁত  চাঁদের বুড়ি থুড়ি থুড়ি  সুঁতা কাটে গুড়গুড়ি  সুঁতাগুলো নষ্ট  বুড়ির মনে কষ্ট  চাঁদের বুড়ি চাঁদের বুড়ি ঈদে তোমার দাওয়াত আসবে কিন্তু মনে রেখো  হউক যতই রাত  মা রাঁধবে ফিরনি পোলাও আরও কতো কী  সব কিছুতেই দিবেন মা  খাঁটি গাওয়া ঘি  থাকবে আরও কতো কী যে  রাবরি মণ্ড মিঠাই ঈদে তোমায় নতুন কাপড় দিবেন আমার মা-ই   ঈদের দিনে এসো কিন্তু  নাইলে দিবো আড়ি  তুমি আসলে তোমার সাথে  যাবো তোমার বাড়ি ।

২. পাষণ্ড ময় 

দেখে এলেম রাস্তার ধারে  কাঁদছে শিশুরা অনাহারে  ঈদের কাপড় অনেক দূরে  তারা যে আজ ক্ষুদায় মরে ঈদের কথা তাঁরাও জানে  তাঁরাও কিন্তু ঈদকে মানে  গরিব বলে পায় না খেতে  দুঃখ ভুলে চাঁদের রাতে  হাতটি পাতে ধনীর কাছে  আশা নিয়ে আসে কাছে কেউবা তাদের খুশি করে  কেউবা মারতে আসে তেড়ে এই দুনিয়ার হাল চাল  হচ্ছে কেবলই বেসামাল  দিন কাটায় আশা নিয়ে কার কাছে খুঁজবে গিয়ে দ্বারে দ্বারে খুঁজে বেড়ায়  একটু খাওয়া দিবে আমায়  খেকিয়ে সবাই  উঠে বলে এসব এভাবে করলে চলে?  কাজ কেনো যে করিস না বাহ বেজায় তোদের বাহানা  ভিক্ষুক কেঁদে কেঁদে শুধু কয়   আজতো ঈদ অন্য দিন নয়  কতো খাবার করছো নষ্ট  দিতে আমায় হচ্ছে কী কষ্ট  দ্বারে দ্বারে তো বেড়াই ঘুরে  ঈদের দিনেও বলোছো পরে  কতদিন হলো খাই না আমি  সবকিছু জানে এ অন্তর্যামী ভিক্ষুক যেতে যেতে  কাঁদিয়া কাঁদিয়া কয় খোদার ঘরে ওগো, তুমি, হে পাষণ্ড ময়  আজকে তুমি অনেক আমীর কালকে হয়তোবা হবে ফকির।

৩. চাঁদ উঠেছে

আকাশে আজ হেলান দিয়ে  হাসছে বাঁকা চাঁদ ঈদ হবে কাল সেই আনন্দে  জাগবো সারা রাত  বাঁকা চাঁদের হাসিতে  মাঁয়া ঝড়ায় রাত্রিতে আনন্দেরই বান ডেকেছে আজ বিশ্ব মাঝারে  ছেলে বুড়ো সবাই হাসে  আহা একি মজারে  নতুন জামা পরবে  আনন্দে সব মাতবে ঈদের তরে চাঁদ উঠেছে  আকাশের ঐ কোনে  আনন্দেরই বান ডেকেছে  তোমার আমার মনে  ঈদ মানে আজ মনের মাঝে  খুশির সঞ্চার ঈদ মানে চারিদিকে এক আনন্দের জোয়ার।