১. কষ্টের কাসিদা
একদা এখানে ছিল স্বর্ণ সিক্ত প্রভাত ঊষর অদ্ভুদ নিয়মে ঘেরা ঘোর লাগা অমাবস্যা রাত চারিদিকে যেনো উড়ে কালো মেঘ বিবর্ণ ধুসর মাঝে মধ্যে বেড়ে যায় বিষাদের ক্রূদ্ধ উৎপাত।
বিরহের আয়োজনে ক্লান্তি নেই রাত থাকে স্বাক্ষী বিষন্ন বিধুর আমি কাতরাই ব্যথিত বকুল কষ্টের কাসিদা নিয়ে পড়ে থাকি এই ময়ূরাক্ষী ক্রমে ক্রমে জেগে উঠে শোকস্মৃতি নিয়ত নির্ভুল।
মোমের আলোতে দেখি জমে যেতে বিভ্রান্ত শরীর প্রকৃতিও খেলা করে প্রাণ ভরে আসে গ্রীষ্ম-শীত অন্ধকারে বয়ে যায় অবিরাম বিমূর্ত সমীর তুমুল শূন্যতা বহে বাজে গান প্রভাত সঙ্গীত।
তুমুল হতাশা বাজে দিকে দিকে কিসের সুবিধা আধো আধো ঘুম ভাঙ্গা চোখে ভাসে কষ্টের কাসিদা।
২. চিরকাল ঋণী
অতঃপর অগ্নি বর্শা হায়েনা বিয়োগে অনন্তর থুথু বৃষ্টি কি কহে উল্লুকে শোকের মাতম নহে, এসো এক যোগে নিক্ষেপিয়া ঘৃণাধুলি কাপালিক মুখে।
শোক নয় শক্তি চাই , নয় পেশীবল কারা ধরে গান আজ সুরের লহরী নির্গত দুচোখ থেকে তেজষ্ক্রিয় জল বধ করে উজবুক, অতন্ত্র প্রহরী।
স্বাক্ষী আছে বাঙলার তেপান্তর মাঠ তোমার নিকট পিতা চিরকাল ঋণী। পরিহরি উৎসব ত্রস্থে নন্দিপাঠ বাজুক নগরে শুধু বিরহ রাগিণী।
এসো আজ মিলেমিশে একসাথে লড়ি পিতার সোনার দেশ একসাথে গড়ি।