ঢাকার বাতাসে ক্যানসার সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব

দূষিত বস্তুকণার পর এবার ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার অস্তিত্ব মিলেছে। যা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করছে মানবদেহে। এক গবেষণায় এমন ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এতে ক্যানসারম শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগী বাড়ছে। যা ওষুধেও দ্রুত সারবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।  

চলতি বছরের জানুয়ারিতে একদিনও স্বাস্থ্যকর বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। যা গত সাত বছরের মধ্যে প্রথম ঘটনা। জানুয়ারির ২১ দিন ঢাকার বাতাসের ছিল আইকিউএয়ারের মানের ১৫০’র বেশি, অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর। আর দশ দিন ছিল ৩০০’র ওপরে, যাকে অথ্যাৎ দুর্যোগপূর্ণ বলা হয়।  

আরও পড়ুন...‘ধুলাবালি ওড়ানোর’ প্রকল্পে বাতাসে মিশছে বিষ

শুধু তাই নয়, ঢাকার বিষাক্ত বাতাসের বস্তুকণার পাশাপাশি, অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি পাওয়া গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন ও টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণায়। একটি বিশেষ যন্ত্র বসিয়ে ঢাকার ১৩টি এলাকা এবং গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের বাতাসের ধুলা আর উড়ন্ত ধুলার ছবি তুলে এই গবেষণা করা হয়। গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার জানান, বাংলাদেশে তৈরি হওয়া বর্জ্যের ৬০ শতাংশ ঘরের আশপাশে পুড়িয়ে ফেলা হয়। ওই ধোঁয়া থেকে কার্বন মনোক্সাইড, মার্কারি, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন তৈরি হয়। যা ঢাকার বাতাসকে মারাত্মকভাবে বিষাক্ত করছে। এছাড়াও অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে নদী ও সমুদ্রের মাছ, পানি, মাটি ও চায়ের জমিতে।

আরও পড়ুন...আজও সবচেয়ে অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বায়ু 

প্লাস্টিক কণা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে প্রথমে ফুসফুস, পরে রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। এতে ক্যানসার, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসজনিত অনেক সমস্যা তৈরি করে বলে জানান জনস্বাস্থ্যবিদ ডা. লেলিন চৌধুরী।  

গবেষণায় বাংলাদেশের ঢাকা ও ভোলা জেলা, নেপালের ললিতপুর, লুমবিনি, কাঠমান্ডু, যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন, জর্জিয়া থেকে বাতাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত গ্যাস পাওয়া গেছে ঢাকা শহরে। news24bd.tv/ইস্রাফিল