চলে গেলেন লেখক সুফিয়া খাতুন

বিদুষী লেখক ও সমাজসেবক সুফিয়া খাতুন মারা গেছেন। শনিবার (৭ জানুয়ারি) পৌনে চারটার দিকে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।  

রাজধানীর সেন্ট্রাল রোডে বেলা দেড়টার দিকে নিজ বাড়িতে সুফিয়া খাতুনের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে বনানী কবরস্থানে স্বামী এ কে এম ওয়াঝিহ উল্লাহ্-এর কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হবে।  তিনি চার ছেলে, এক মেয়ে, নাতিনাতনি, অসংখ্য শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

সুফিয়া খাতুন ছিলেন স্কুলশিক্ষক। তিনি ২৩ বছর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট মডার্ন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ‘জীবন নদীর বাঁকে বাঁকে ’ গ্রন্থের কারণে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান এ লেখক।  

সুফিয়া খাতুন প্রাতর্ভ্রমণকারী সঙ্গিনীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘উষা মৈত্রী’ সংগঠন। যুক্ত ছিলেন ‘হেমন্তিকা’ নামের সংগঠনের জন্ম প্রক্রিয়া থেকে। সমমনা আগ্রহী নারীদের সঙ্গে নিয়ে বৃদ্ধাবাস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছে ‘হেমন্তিকা’। দুটি সংগঠনের নামই তার দেওয়া।

সুফিয়া খাতুনের জন্ম ময়মনসিংহে। দেশ ও বিদেশের নানা স্থানে জীবন কেটেছে তার। শৈশব ও কৈশোরে বাবার, বিয়ের পর সরকারি কর্মকর্তা স্বামীর চাকরিসূত্রে এবং পরবর্তী জীবনে ছেলেমেয়েদের জন্য তিনি হেঁটেছেন পৃথিবীর পথে পথে।

news24bd.tv/হারুন