রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পেতে ৮০ সংগঠনের আবেদন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পেতে প্রায় ৮০টি নতুন সংগঠন আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। রোববার (৩১ আগস্ট) শেষ দিনে আবেদন জমা পড়ে ৪০টির। নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।  

এবার তিন মাস সময় দিয়ে ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। পরে আরো দুই মাস বাড়িয়ে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদনের সময় দেয় ইসি। তবে ওই দিন সরকারি ছুটি থাকায় গতকাল ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন জমা নেওয়া হয়।  

একটি শর্ত অপূর্ণ থাকলেও কোনো দল নিবন্ধন পাবে না জানিয়ে রোববার সচিবালয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, ‘নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে, তবে নিবন্ধন পাবে না। ’ 

মো. আলমগীর বলেন, ‘আজ (রোববার) শেষ দিন। এরপর আমরা কমিটি করে দেব। তারা যাচাই-বাছাই করবে। এরপর আমরা দেখে সিদ্ধান্ত দেব। শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ কম থাকলেও নিবন্ধন পাবে না। যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে। ’ জামায়াতের নেতারা বিভিন্ন দলের নামে নিবন্ধনের আবেদন করেছেন—এ তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা তো দেখিনি। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলছেন। তবে যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই শতভাগ শর্ত পূরণ করার বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসে আমরা নিবন্ধন দেওয়ার কাজ সমাপ্ত করব। মে মাসের শেষে যারা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য, তারা পাবে। যারা পাবে না তাদেরও জানিয়ে দেব যে, এ কারণে নিবন্ধন দেওয়া হলো না। তথ্য যাচাইয়ের জন্য আমরা টিম করে দেব। কিছু জিনিস মাঠে দেখতে হবে। কিছু তথ্য নির্বাচন কমিশনেই যাচাই করা হবে। ’

গতবার দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। সে সময় কে এম নুরুল হুদা কমিশন শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে সবগুলো দলের আবেদন বাতিল করে। পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

এবার যে ৮০ দলের আবেদন

এবার যে ৮০টি দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে সেগুলো হচ্ছে নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন (বিজিএমএ), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি (কেএসপি), বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট (পিডিএ), বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি (বিআরপি), বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আমজনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট (বিডিএম), বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, এবি পার্টি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণরাজনৈতিক জোট (গরজো), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি (বিডিপি), বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), নতুন ধারা বাংলাদেশ (এনডিবি), বাংলাদেশ হিন্দু লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল কংগ্রেস, মুক্তিযোদ্ধা কমিউনিজম ডেমোক্রেটিক পার্টি, রাজনৈতিক আন্দোলন, বাংলাদেশ জনতার অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ হিউম্যানিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি, যুব স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ন্যাপ (ভাসানী), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ, বাংলাদেশ মাইনরিটি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় রক্ষা লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, বাংলাদেশ সনাতন পার্টি, বাংলাদেশ জনতা পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, জনস্বার্থে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জাতীয় ইনসাফ পার্টি, সাধারণ জনতা পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ মানবতাবাদী দল, বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা কল্যাণ পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ড, গণ অধিকার পার্টি, বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি ও যুবসমাজ পার্টি।

news24bd.tv/ইস্রাফিল