সবার সহযোগিতায় বাঁচবে শিশু ফরহাতুল

হাশিখুশি প্রাণবন্ত একটি মুখ ফরহাতুল। বয়স আট। হইচই করে দিনমান মাতিয়ে রাখত কাছের মানুষকে। আচমকাই থমকে গেছে ছোট্ট শিশুটির দুনিয়া। জটিল রোগ নিস্তেজ করে দিয়েছে ডানপিটে ছেলেটিকে। আর স্কুলে যাওয়া হয় না। বল নিয়ে ছুটে যাওয়া হয় না বন্ধুদের কাছে। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। পাশে বসা মায়ের কাছে একটাই প্রশ্ন- 'মা, আমি আর ভালো হব না?' 

বুক ভেঙে গেলেও মুখে হাসি রেখে শান্তনা দেন মা। বলেন, আর কটা দিন। ডাক্তার বলেছেন, দ্রুতই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। আবার খেলতে পারবে। স্কুলে যেতে পারবে।

সেই দিনের প্রতীক্ষা করতে করতে প্রায় বছর পার হয়ে গেছে। এখনো হাসপাতালের বিছানায় রোগের সঙ্গে যুদ্ধ করছে ফরহাতুল। গত বছরও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দ্বিতীয় শ্রেণির সকল সহপাঠীদের মাতিয়ে রাখতো ছেলেটি। কিন্তু এখন তার ঠিকানা হয়েছে হাসপাতালের বিছানা। ছোট্ট শরীরে বাসা বেঁধেছে হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস, ব্লাড ক্যানসার ও ই-বিটা থ্যালাসেমিয়ার মতো জটিল সব রোগ। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এখন ভারতের চেন্নাই অ্যাপোলো ক্যান্সার হসপিটালের হেমাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. রেভতি রাজের অধীনে চিকিৎসাধীন আছে ফরহাতুল।

ফরহাতুলের বাবা মো. সাদেকুল ইসলাম বলেন, ছেলেটার মুখের দিকে তাকালে বুক ভেঙে যায়। সারাদিন ঘর মাতিয়ে রাখতো। এখন হাসপাতালের বিছানায় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। নিস্তেজ। অবস্থার ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। দ্রুতই অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। এর খরচ প্রায় ৯০ লাখ টাকা। প্রতি মাসে পাঁচ ব্যাগ রক্ত দিতে হচ্ছে। আছে ওষুধ, হাসপাতালের খরচ। এরইমধ্যে কোটি টাকার উপরে খরচ হয়ে গেছে। অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। সম্বল যা ছিল শেষ করে ফেলেছি। এখন আর চিকিৎসা ব্যয় বহন করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

সাদেকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত অস্তিমজ্জা প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়। চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকরা আশ্বাস দিয়েছেন। তবে অস্ত্রোপচারের যে খরচের হিসাব হাসপাতাল থেকে দেওয়া হয়েছে তা জোগাড় করা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমার সব দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন সমাজের বিত্তবান মহানুভব মানুষগুলোর দিকে তাকিয়ে আছি। সবার দোয়া আর সহযোগিতা হয়ত ফরহাতুলকে আবার আমাদের মাঝে সুস্থ দেহে ফিরিয়ে দেবে।

ফরহাতুলের জন্য সহায়তা পাঠানো যাবে: মো. সাদেকুল ইসলাম, সঞ্চয়ী হিসাব: ১২৫১১, ইসলামী ব্যাং, রামপুরা শাখা অথবা সঞ্চয়ী হিসাব: ১৯২.২১০.৭০০.১০৪৪০, প্রাইম ব্যাংক, বনশ্রী শাখা। বিকাশ: ০১৮৬৪-২৯১৩২৭, ০১৮৬৪-২৯১৩২৮।