গোপনে তৃতীয় বিয়ে করায় ব্লেড দিয়ে স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে নিয়েছে দ্বিতীয় স্ত্রী। কাল শুক্রবার দিবাগত রাতে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম মোবারক হোসেন (৩৫)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের আবুল ফজলের ছেলে। তার গোপনাঙ্গ কেটে নেওয়া স্ত্রীর নাম কোহিনুর বেগম। তিনি কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাকচর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।
চরবংশী হাজীমারা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর হোসেন জানান, ১৫ বছর আগে মোবারক হোসেন কুমিল্লা শহরে একটি হোটেলে চাকরি করার সুবাদে সেখানেই প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন। তবে বিয়ের দুই বছরের মাথায় তাকে তালাক দিয়ে কোহিনুরকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুটি সন্তান রয়েছে। এর মধ্যে নিজ গ্রামে এসে ১৮ দিন আগে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন মোবারক।
এ ঘটনা জানতে পেরে কোহিনুর সন্তানসহ তার বাবাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মোবারকের বাড়িতে আসেন। রাতেই উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড ঝগড়া ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে মোবারকের পরিবারের হস্তক্ষেপে উভয়পক্ষ শান্ত হয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়লে কোহিনুর মোবারকের কক্ষে গিয়ে ধারালো ব্লেড দিয়ে গোপনাঙ্গ কেটে ফেলে।
এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে মোবারককে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
অভিযুক্ত কোহিনুর বেগম বলেন, আমাকে ভরণ-পোষণ তো দেয়ইনি এবং খোঁজ-খবরও রাখতো না মোবারক। দুই সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাতে হতো। আমার অনুমতি ছাড়াই তৃতীয় বিয়ে করেছে স্বামী। তাই বাধ্য হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। থানার অফিসারের মাধ্যমে কোহিনুরকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর